কিশোরগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের আগাম জামিন
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের পাঁচ উপজেলায় করা মামলার আসামি বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিকেলে বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের যৌথ বেঞ্চ জামিন মঞ্জুরের এ আদেশ দেন।
জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ১৪ জন, কুলিয়ারচর উপজেলার ২০ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলার ১৯ জন, হোসেনপুর উপজেলার ১৪ জন এবং করিমগঞ্জ উপজেলার ১৩ জন নেতাকর্মী রয়েছেন।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা জামিন আবেদনের শুনানি করেন। পরে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
পাঁচটি মামলার সবকটিকেই গায়েবি দাবি করে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম বলেন, ‘ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশকে বানচাল করতেই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক গায়েবি মামলাগুলো করা হয়েছে।’
সভাপতির দেওয়া তথ্যমতে জামিনপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আশফাক, কিশোরগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া ও ফেরদৌস আহমেদ নেভিন, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তৌফিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও কামাল উদ্দিন, পাকুন্দিয়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম সুজন, হোসেনপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ, হোসেনপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাফায়েতুল ইসলাম সম্রাট, করিমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি তুহিন ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন খান পল্টু, কুলিয়ারচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ইসমাইল খান, রামদি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজলু মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক সাফিউদ্দিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামজাদ হোসেন শাহিন ও আব্দুল আওয়াল তালুকদার, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেদোয়ান রহমান ওয়াকিউর, সহসভাপতি সায়েদ সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালী উল্লাহ রাব্বানী তৌকি, সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম নিশাত এবং সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ শাওন বাবু।