কিশোরগঞ্জে বিএনপির ১২ নেতাকর্মী কারাগারে
কিশোরগঞ্জে বিস্ফোরক আইনের তিনটি মামলায় বিএনপির ১২ নেতাকর্মীর জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলার হোসেনপুর, পাকুন্দিয়া ও বাজিতপুর উপজেলায় পুলিশ বাদী হয়ে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের তিনটি মামলায় আজ সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বিএনপির ৩৮ নেতাকর্মী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান ২৬ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং ১২ জনের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত বছরের ৩ ডিসেম্বর হোসেনপুর থানায় পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৪ জন জামিন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে হোসেনপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাফায়েতুল ইসলাম সম্রাট ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আলম এরশাদ, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব রিমন মিয়া, উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কাইয়ুম মিয়া, উপজেলা বিএনপির সদস্য খুররম খাঁ এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রিপন মিয়ার জামিন না মঞ্জুর হয়।
এ ছাড়া গত বছরের ৪ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া থানায় দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৯ জন জামিন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশীদ উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মাহমুদ সম্রাট ও সদস্য সচিব শাহিন আল জনি এবং উপজেলা বিএনপির সদস্য গোলাপ মিয়ার জামিন না মঞ্জুর হয়।
বাজিতপুর থানায় গত বছরের ১ ডিসেম্বর পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় পাঁচজন জামিন আবেদন করেন। তাদের মধ্যে বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হৃদয় হাসান ও উপজেলা বিএনপির সদস্য শিপন মেম্বারেরজামিন না মঞ্জুর হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম জুয়েলসহ আরও ১০ থেকে ১৫ জন আইনজীবী জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। অপর পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষে ভারপ্রাপ্ত কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম জামিনের বিরোধিতা করেন।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।