কিশোরগঞ্জে বিএনপির ১৪ নেতার জামিন, ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১৪ নেতাকে জামিন দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ। এ ছাড়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তিন জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সায়েদুর রহমান খান এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির ১৭ নেতা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। পরে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ওই ১৭ নেতা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে চারদিনের অস্থায়ী জামিন দিয়ে পূর্ণাঙ্গ জামিন শুনানির জন্য আজ তারিখ ধার্য করে। এর মধ্যে ১৪ জন আজ আদালতে হাজির হলে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। অনুপস্থিত তিন জনের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন বলেন, ‘জামিন পাওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়া, নাজমুল আলম ও আমিনুল ইসলাম আশফাক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুজ্জামান পার্নেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ নেভিন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন।’
এ ছাড়া জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মুশতাক আহমেদ শাহীন এবং জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি মোহাম্মদ হিমেলের জামিন বাতিল করে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে বলে জানান অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন।
চলতি বছর ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অনিক কুমার সাহা বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছিলেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৬০/৭০ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমনসহ এখনো তিনজন কারাগারে রয়েছেন।