কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় কিশোর গ্যাং চক্রের ছুরিকাঘাতে আহত মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ী নয় দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় তাঁর। জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ১০ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার চরপাথরঘাটায় হল-২১ কমিউনিটি সেন্টারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে কিশোর গ্যাং চক্র জাহাঙ্গীর আলমকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহত ব্যবসায়ীর স্ত্রী নুরতাজ বেগম বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। কিন্তু, এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি কর্ণফুলী থানা পুলিশ।
নিহত জাহাঙ্গীরের ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম বলেন, ‘কিশোর গ্যাংকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দিয়ে আসছিলেন আমার বাবা। কিন্তু কয়েকদিন থেকে চাঁদা বন্ধ করে দেওয়ার জের ধরে আমার বাবাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তিনি মারা যান।’
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ জানান, ‘কিশোর গ্যাং কর্তৃক জাহাঙ্গীর আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। আহত জাহাঙ্গীর আলম মারা যাওয়ার পর এটি হত্যা মামলা হিসেবে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।’