কুমিল্লায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে আহত ১০, তদন্ত কমিটি গঠন
কুমিল্লার বিসিক শিল্প নগরীতে একটি ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণে ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বেঙ্গল ড্রাগ অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কস লিমিটেড নামের কারখানায় এই বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আহতরা হলেন কারখানার হেড অব কোয়ালিটি কর্মকর্তা ঈসমাইল হোসেন, শ্রমিক আল আমিন, মুকুল, শামিমা, সন্ধ্যা রানী। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এসি থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে, কারখানায় কেমিক্যাল থাকায় বিস্ফোরণের সঠিক কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বিস্ফোরণের পর ভবনের ক্ষতি ও দোতলায় মজুত বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দেখে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য সব কারণই খতিয়ে দেখা হবে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানায়, এ ওষুধ কারখানার তিনতলা ভবনের দোতলায় এই বিস্ফোরণটি ঘটে। এতে ভেঙে পড়া দেয়ালের ইট ও বিভিন্ন কাচের আঘাতে ওই ১০ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে ভবনের একটি দেয়াল উড়ে যায় এবং থাই গ্লাসগুলো ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া কয়েকটি দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেখান থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এসির বিস্ফোরণেই দেয়াল ধসে পড়েছে এবং তিনটি এসি উড়ে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে পড়েছে। তবে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষের পাশে রাসায়নিক পদার্থের কক্ষ ছিল।
এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাঈন উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার ডিজিএম জাহাঙ্গীর আলম। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান।