কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
কুমিল্লায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত রাজুর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে রাজুর মরদেহ তাঁর ভাই রনির কাছে হস্তান্তর করে। নিহত রাজু কুমিল্লার সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।
এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মো. রাজু (৩৫) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন বলে দাবি করে র্যাব। কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ভারত সীমান্তের গোলাবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-১১ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ‘আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ি সীমান্তে সন্ত্রাসীদের একটি দল অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষায় র্যাব পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবের একজন সদস্য এবং রাজু নামের এক সন্ত্রাসী আহত হয়। পরে উভয়কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত রাজু কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে।
গত ১৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারত সীমান্তের হায়দারাবাদ এলাকায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকারকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁকে উদ্ধার করে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ ঘটনায় নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাঈমের মা নাজমা আক্তার বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজুকে প্রধান আসামি এবং তিন জনের নাম উল্লেখ করে বুড়িচং থানায় মামলা করেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচ জনকে আসামি করা হয়। এর আগে মনির ও পলাশ নামের এজাহারনামীয় দুজনসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।