কুমিল্লায় শেষ মুহূর্তেও জমজমাট ঈদ কেনাকাটা
ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। শেষ মূহূর্তেও কুমিল্লায় জমজমাট মার্কেট। রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ফুটপাত থেকে শুরু করে বিপণিবিতানগুলো। পোশাকের পাশাপাশি নারীরা ছুটছেন কসমেটিকস আইটেমের দিকে। জুতোর দোকানেও রয়েছে উপচে পড়া ভিড়।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) কুমিল্লার শহরের কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, ও চকবাজার এলাকার বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সেখানে বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মল ঘুরে পছন্দের পোশাকসহ প্রয়োজনীয় ঈদ সামগ্রী খুঁজে নিচ্ছেন ক্রেতারা। পোশাক, কসমেটিকস, জুতাসহ অন্যান্য দোকান ও ফুটপাতজুড়ে কেনাবেচা চলছে সমান তালে।
কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার বিভিন্ন শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, আজ সকাল থেকেই মার্কেটমুখী ক্রেতাদের চাপ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পুরুষদের আকর্ষণের তালিকায় বরাবরই পাঞ্জাবি। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শার্ট-পাঞ্জাবি ছাড়াও প্যান্ট ও জুতার দোকানে পুরুষ ক্রেতাদের সমাগম ছিল।
অন্যদিকে, কসমেটিকস ও গহনার দোকানে নারীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় মানুষের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে। বেচাবিক্রিও ভালো হচ্ছে।
কুমিল্লার খন্দকার প্লাজার কাপড় বিক্রেতা মোজ্জাম্মেল বলেন, ‘গত দুই বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা অনেক বেশি হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসেও ক্রেতাদের সমাগম কমতি নেই। এখন যারা আসছেন তারা খালি হাতে ফিরছেন না, কেনাকাটা করতেই আসছেন।’
কসমেটিক বিক্রেতা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘গত কয়েক বছর করোনার কারণে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, এবছর বিক্রির মাধ্যমে তার কিছুটা হলেও পুষিয়েছে। পুরো রমজান করে বেচাকেনা ভালো হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বেচাকেনা হয়েছে। ক্রেতাদের হাতেও এখন টাকা আছে।’
জেলার চান্দিনা থেকে এসেছেন দিদার হোসেন নামে এক ক্রেতা। তিনি বলেন, ‘কেনাকাটা অধিকাংশ আগেই করা হয়েছে। টুকটাক যা বাকি ছিল সেগুলো নেওয়ার জন্য এসেছি।’
জাকির হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘রোজার শুরুতে কাজের চাপে ঈদের কেনাকাটা করতে পারিনি। ছুটি পেয়েছি, তাই বাড়ির সবার জন্য কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি।’