কুলিয়ারচরে নিজ ঘরে ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় নিজ ঘর থেকে মো. দেলোয়ার হোসেন দিলু (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের মাধবদী মধ্যপাড়া গ্রামের নিহতের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত দেলোয়ার একই গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার বড় ছেলে। তিনি পুরান ঢাকার নয়া বাজার এলাকার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানার মালিক ছিলেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুলিয়ারচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নিহতের স্ত্রী আলপনা বেগম (২৫) জানান, রোববার রাতে তাঁরা একসঙ্গে বারান্দার রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন। শেষ রাতে হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শুনে তিনি পাশের রুমে গিয়ে দেখেন দেলোয়ার রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছেন। এ সময় তাঁর চিৎকার শুনে শ্বশুর-শাশুড়ি ছুটে আসেন। পরে তাকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান।
নিহতের ছোট ভাই মনির জানান, ব্যবসায় দেলোয়ারের ৩০ লাখ টাকার মতো বাকি এবং ২০ লাখ টাকার মতো দেনা ছিল। সে কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং প্রায়ই আত্মহত্যা করতে চাইতেন। এসব কারণে দেলোয়ার নিজের গলা কেটে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
নিহতের বাবা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘দেলোয়ার পুরান ঢাকার নয়াবাজার এলাকার একটি ব্যাগ তৈরির কারখানার মালিক। সে গত শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে। এর একদিন পর নিজ ঘরে এ ঘটনাটি ঘটে। তাঁর ব্যবসায়িক বড় ধরনের আর্থিক দেনা ছিল, এমন কিছু আমি জানতাম না। এমন কিছু হলে ছেলে অন্তত আমাকে জানাতেন।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রতিবেশী জানান, দেলোয়ার আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ছিলেন। তাঁর ব্যবসার অবস্থাও বেশ ভালো বলে তাঁরা জানতেন। কয়েক মাস আগেও তিনি ১৪ লাখ টাকায় জমি কিনেছেন। আত্মহত্যার বিষয়টি তাদের কাছে রহস্যময় বলে মনে হচ্ছে তাদের।