কুষ্টিয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীর করোনা পজিটিভ, সন্তানের মৃত্যু
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা রহিমা খাতুনের (৩২) গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি।
রহিমা খাতুনের বড় ভাই আশরাফুল আলম জানান, তাঁর বোনের বাড়ি জেলার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে। তাঁর ভগ্নিপতির নাম আশরাফুল আলম। গত ২০ জুলাই জ্বরসহ করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দেয় রহিমার। ২৩ জুলাই তাকে হাসপাতালে আনা হয়। নমুনা দেওয়ার পর পজিটিভ শনাক্ত হলে তাকে দ্রুত করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি করে অক্সিজেন দেওয়া হয়। বেশির ভাগ সময়ই তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হচ্ছে।
গতকাল রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আবদুল্লাহ জানান, রাত ১০টার দিকে হঠাৎ রহিমা খাতুন পেটে ব্যথা অনুভব করেন। ব্যথা তীব্র হলে তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে দক্ষ নার্স ও আয়ারা ওয়ার্ডের ভেতর কাপড় দিয়ে ঘিরে তার সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যে পুত্রসন্তান প্রসব করেন রহিমা। তবে সন্তানটি মৃত ছিল।
আজ শুক্রবার সকালে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তানমিনা তাবাসসুম জানান, রহিমার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তার শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বর্তমানে ৫৫ থেকে ৬০-এ ওঠানামা করছে। কেন্দ্রীয় অক্সিজেন ও হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলায় অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ আক্রামুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাদের চিকিৎসা দেওয়া একটু কঠিন। তারপর ৩২ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। তার অক্সিজেনসহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ চলছিল। এতে সাধারণত বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। তার পরও চেষ্টা চালানো হয়েছিল। এ ছাড়া মায়ের উচ্চ রক্তচাপ আছে।’