কুষ্টিয়ায় দুই মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ায় দুটি আলোচিত হত্যা মামলায় ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সদর উপজেলার কবুরহাট শিশির মাঠে হোমিও চিকিৎসক মীর সানাউর হত্যায় চারজনের এবং কুমারখালীতে ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম হত্যায় দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার এই দুই মামলার রায় দেওয়া হয়।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১-এর বিচারক তাজুল ইসলাম চিকিৎসক মীর সানাউর হত্যার রায় শোনান। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—খাজানগর এলাকার আজিজুল ইসলাম (২৩), সাইজুদ্দিন কাজি (২৮), সাইফুল ইলাম খান (৩৫) ও কবুরহাট এলাকার জয়নাল সর্দার (৩৬)।
এ ছাড়া প্রত্যেকের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অন্য ছয়জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৬ সালের ২০ মে সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক বন্ধু সাইফুজ্জামানকে সঙ্গে নিয়ে মীর সানাউর রহমান (৫৭) কুষ্টিয়ার মজমপুর থেকে বটতৈল শিশির মাঠে বাগান বাড়ি যাচ্ছিলেন। কবুরহাট এলাকায় পৌঁছালে আসামিরা চাপাতি ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে দুজনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মীর সানাউর। গুরুতর আহত হন বন্ধু সাইফুজ্জামান। পরে নিহত মীর সানাউর রহমানের ভাই মীর আনিছুর রহমান কুষ্টিয়া মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
এদিকে, কুমারখালীতে ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে চাচা ও ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ দুপুরে বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামি চাচা সিফাত বিশ্বাস ও ভাতিজা ওয়াসিম আলীর উপস্থিতিতে এ রায় দেন। এ ছাড়া দুজনকেই ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। মামলা থেকে সাতজনকে খালাস দেন আদালত।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বাড়াদি গ্রামে সাউন্ড বক্স বাজানো নিয়ে বিরোধে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রিয়াজুলকে হত্যা করা হয়। নিহতের ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন।