কুষ্টিয়ায় যুব জোট নেতা হত্যায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৩
কুষ্টিয়ায় জাসদের সহযোগী সংগঠন জাতীয় যুব জোট দৌলতপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান সালাম হত্যার ঘটনায় দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীকে ১ নম্বর ও তার ছোট ভাই দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরীকে ২ নম্বর আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাবা এনামুল হক ওরফে আলাউদ্দিন খান বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় এই হত্যা মামলাটি দায়ের করলেও মামলাটি রুজু করা হয় আজ শুক্রবার দুপুরে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান জানান, যুব জোট নেতা মাহবুব খান সালাম হত্যার ঘটনায় স্থানীয় হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীকে ১ নম্বর ও তার ভাই বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরীকে ২নম্বর আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৮-৯ জনের বিরুদ্ধে নিহতের বাবা এনামুল হক ওরফে আলাউদ্দিন খান বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
ওসি আরও জানান, ইতোমধ্যে এজাহারনামীয় আসামি নাজিবুল ইসলাম, সোহান ও মেহেদি হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে। তাঁদের ধরতে মাঠে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলায় প্রধান আসামি সেলিম চৌধুরীর পরিবারের ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সেলিম চৌধুরী দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তাঁর ছোট ভাই দৌলতপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ টোকন চৌধুরী, তাঁদের বড় ভাই কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী, ভাতিজা উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আসাদুজ্জামান লোটন চৌধুরী। এছাড়াও একই আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির মোল্লাকেও এই মালায় আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মাহবুব খান সালামকে দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গার বয়েন মোড়ে রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গতকাল বিকেলে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আল্লারদর্গা বাজারে মাহবুবের লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।