সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় সাত দিনের কঠোর লকডাউনের আজ শুক্রবার ছিল পঞ্চম দিন।

পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জনের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১১ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৪২ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপে চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎকরা।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা রোগীর জন্য ১০০ শয্যার বিপরীতে ১৭২ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে শয্যার সংখ্যা ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করা হচ্ছে। আপাতত জরুরি সেবা ছাড়া হাসপাতালের সব বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।

এদিকে, লকডাউন কার্যকর করার জন্য জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছেন। এর মধ্যেও কোনোভাবেই কমানো যাচ্ছে না করোনায় সংক্রমণের হার ও মৃত্যু।

গতকাল স্বাস্থ্যবিধি ভাঙার জন্য জেলাজুড়ে অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক লাখ ৩৬ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।

উল্লেখ্য, অস্বাভাবিক হারে করোনার সংক্রমণ  বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত সাতদিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন।