কুষ্টিয়ায় হানিফ পরিবহণে ডাকাতি, চারজনের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় হানিফ পরিবহণে (বাসে) ডাকাতির মামলায় চারজনকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম তিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন পাবনার বেড়া উপজেলার কৌটুলা গ্রামের দেলোয়ার (৩৩), একই উপজেলার পেচাকোলা গ্রামের আলমগীর (৬০), ঈশ্বরদীর খোকন (৪৫) ও পলাতক আসামি একই উপজেলার বাঘাইল গ্রামের আয়নাল (৫৩)। এছাড়াও এ মামলায় তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে হানিফ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাস কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলার বারোমাইল এলাকায় পৌঁছলে বাস থামিয়ে দুজন যাত্রীবেশী ডাকাত উঠে চালক ও সুপারভাইজারের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে যাত্রীদের মালামাল ডাকাতি করতে থাকে। এমতাবস্থায় বাসটি ভেড়ামারা রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে র্যাবের চারটি গাড়ি বাসটিকে ঘিরে ফেলে এবং পাঁচজন ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের কাছে থেকে দেশীয় অস্ত্র, সাতটি মোবাইল ও ৪০ হাজার টাকা উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় হানিফ পরিবহণ বাসের চালক হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১৪ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৪ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ আদালতের বিচারক মামলার চার আসামিকে ১৪ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার পর পরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে অপর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়নাল পলাতক রয়েছেন।
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ‘হানিফ পরিবহণে ডাকাতির মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় চার ডাকাতের ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় মজনু, ইউসুফ ও নূর মোহাম্মদ নামের তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’