কুষ্টিয়া সুগার মিলসের এক কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা
কুষ্টিয়া সুগার মিলস থেকে বিপুল চিনি আত্মসাতের ঘটনায় এক কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় এ মামলা করেন দুদক কুষ্টিয়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল।
মামলায় কুষ্টিয়া সুগার মিলসের উপব্যবস্থাপক (ভাণ্ডার) আল আমিন, গুদাম রক্ষক ফরিদুল হক ও শ্রমিক সরদার বশির উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে।
দুদক কুষ্টিয়ার উপপরিচালক মো. জাকারিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে এ বিষয়ে অর্ডারও জারি হয়েছে।
কুষ্টিয়া সুগার মিলসের গুদাম থেকে ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি উধাওয়ের ঘটনা ধরা পড়ে গত ৩ জুন। বিষয়টি জানাজানি হলে চিনিকল প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এর একদিন পরই আসে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পাঁচ সদস্যের তদন্তদল। তারা জড়িত তিনজনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ও কয়েকজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়াসহ পাঁচ দফা সুপারিশ করে।
ওই কমিটির সুপারিশ মোতাবেক কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ করে কুষ্টিয়া সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ। থানা তা দুদকে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দুদক। দুদকের তদন্তে উঠে আসে কুষ্টিয়া সুগার মিলসের উপব্যবস্থাপক আল আমিন, গুদামরক্ষক ফরিদুল হক ও শ্রমিক সরদার বশির উদ্দিন এই চিনি আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত। দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয় মামলা আকারে নেওয়ার জন্য কমিশনের অনুমতি চায়। সেই অনুমতি আসার পর আজ মামলাটি করা হলো।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই তিন কর্মকর্তা-কর্মচারী পরস্পর যোগসাজশে কুষ্টিয়া সুগার মিলসের ৫২ দশমিক ৭ টন চিনি আত্মসাৎ করেন। যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ ২০ হাজার ১০০ টাকা।
এর আগে বিভাগীয় ব্যবস্থা হিসেবে দুজন নিরাপত্তা হাবিলদারকে অব্যাহতি এবং তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করে কুষ্টিয়া সুগার মিলস কর্তৃপক্ষ। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লোকসানে থাকা এই চিনিকলের মাড়াই গত মৌসুম থেকে বন্ধ রেখেছে সরকার।