কুড়িগ্রামে একই পরিবারের সাতজনসহ ৯ রোহিঙ্গা আটক
রোহিঙ্গা শিবির থেকে পালানো শিশুসহ নয়জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছেন কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে এই নয়জনকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পরে তাদের ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল রাত ৮টার দিকে একই পরিবারের সাতজনসহ নয় নোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে চারজন শিশু, দুজন কিশোর, একজন কিশোরী, একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) জাহাঙ্গীর আলম জানান, করোনার মহামারি রোধে সরকারের দেওয়া লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাত ৮টার দিকে উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের কাচুর মোড়ে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অটোরিকশাকে থামানো হলে দুজন যাত্রী নেমে পালিয়ে যায়। অটোরিকশাচালকসহ মোট ১২ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে দুজন পালিয়ে যাওয়ায় ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা স্বীকার করে যে, তারা রোহিঙ্গা। সলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তির মাধ্যমে তারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারত যাওয়ার জন্য দুদিন আগে ভূরুঙ্গামারী এসেছে। পরে রাত ৯টার দিকে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রোহিঙ্গা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তারা পালিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের সাতজনসহ নয়জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক করেছেন। আটককৃতরা হলেন, কুতুবখালি-১৩ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুল খালেকের ছেলে ফইয়া সালাম (২৭), কুতুবআলম-২ ক্যাম্পের সিদ্দিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (১৮), ক্যামড়া বালুখালি-১৮ ক্যাম্পের হাসেম আলীর স্ত্রী সাবিকা খাতুন (৫০) ও তার ছেলে নাছিম (১৫), রিয়াজ (১০), মেয়ে আছমিরা খাতুন (১৮), তাছমিনারা খাতুন (৭), রুমাজান খাতুন (৫) ও ইসমাইল হোসেন (৩)। তাদের সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।