কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণায় খুলনা বিএনপির উদ্বেগ
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু এবং এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুয়েট বন্ধ ঘোষণা করায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি।
শুক্রবার রাতে মহানগর বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সামসুজ্জামান চঞ্চলের পাঠানো বিবৃতিতে উদ্বেগ জানায় বিএনপি। এতে বলা হয়, ‘সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে মানসিক নির্যাতনে শিক্ষক ড. সেলিম হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিক্ষকেরা মুখোমুখি অবস্থানে থাকা এবং দুই দফায় সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় কুয়েট বন্ধ ঘোষণা কোনো সমাধান নয়। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেড় বছর বন্ধ থাকার পর চালুর তিন সপ্তাহের মাথায় কুয়েট বন্ধের ফলে একদিকে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন বিঘ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে, ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুয়েটের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন—খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটন, অ্যাডভোকেট বজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।
কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন গত মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মারা যান। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ ওঠে, মৃত্যুর আগে অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন লাঞ্ছনার শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন কুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের অধ্যাপক এবং লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ছিলেন।