কৃষক লীগনেতা ও বিস্ফোরক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা
বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ইতি (৩০)। এতে আবদুর রবের ভাই কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী হককেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, বিস্ফোরক পরিদপ্তরের পরিদর্শক আবদুর রব গত বছরের নভেম্বরে ফাতেমা খাতুন ইতিকে এক ছেলেসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে ফাতেমা খাতুন ইতি জানতে পারেন তাঁর স্বামী (আবদুর রব) একাধিক স্ত্রী রয়েছে। এ ছাড়াও বিয়ের পর ফাতেমার কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আবদুর রব। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিতে পারা ও যৌতুকের প্রতিবাদ করলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন তাঁকে। একপর্যায়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আর্জিতে ফাতেমা বলেন, আবদুর রবের অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে জানতে পারায় প্রতিবাদ করি। এ বিষয়ে তাঁর ভাই কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকীর কাছে বিচার চাইলেও তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।
ফাতেমা জানান, এরপর গত ১০ মে আমি গর্ভবতী জানার পর আবদুর রব ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে আমার বাসায় এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন এবং গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দেন। তা না হলে ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান। নইলে তালাক দেবেন বলে জানিয়ে দেন। এ সময় রবের ভাই নূরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, আপনি ব্যাংকে চাকরি করেন। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে দেন। তখন আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা কিল-ঘুষি মারতে থাকে এবং তলপেটে আঘাত করার চেষ্টা করে।
এ বিষয়ে ফাতেমা খাতুন ইতি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আবদুর রব আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তিনি বলেছেন, তিনি আমাকে বিয়ে করেননি। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমি আবদুর রবকে বিয়ে করি। বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক জানতে পারায় প্রতিবাদ করি। রব ও তাঁর ভাই আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন।’
ফাতেমা বলেন, আবদুর রব ও তাঁর ভাই বাসার মালিককে চাপ প্রয়োগ করছে ছেলেসহ আমাকে বাসা থেকে বের করে দেওয়ার জন্য। বাসাভাড়াসহ আমাদের খরচ সব বন্ধ করে দিয়েছে আবদুর রব। বর্তমানে আমার গর্ভে আবদুর রবের সন্তান রয়েছে। গর্ভের বাচ্চাসহ চরম আর্থিক ও মানসিক সংকটে আছি আমি।’
এ বিষয়ে আবদুর রবের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং খুদেবার্তা পাঠিয়েও কোনো জবাব মিলেনি।