কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের সঙ্গে ডাচ কৃষিমন্ত্রীর বৈঠক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক নেদারল্যান্ডসের কৃষিমন্ত্রী হেনক স্টেগহওয়ারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেছেন। পরে বৈঠক করেন তাঁরা। সেদেশের কৃষি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুদেশের মধ্যে কৃষিপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা ও বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়।
আজ মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাচ কৃষিমন্ত্রী ফ্লোরিয়াডে এক্সপোতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘এর ফলে নেদারল্যান্ডসসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ হতে আগত দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও কৃষিপণ্য উৎপাদন এবং পণ্যের ব্যপ্তি ও বহুবিধ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারছে।’
আব্দুর রাজ্জাক ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ ও নেদাল্যান্ডসের বন্ধুত্বের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে সম্প্রতি দ্য হেগ-এ ডাচ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অংশীদারিত্বে সফলভাবে আয়োজিত এগ্রি-বিজনেস কনক্লেভ ও অংশগ্রহণকারী ডাচ অ্যাগ্রো কোম্পানিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করেন। ড. রাজ্জাক ওয়াগেনিংগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও ডাচ কৃষিমন্ত্রীকে জানান। তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্যভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিছু প্রধান খাদ্যশস্য, শাক-সবজি, মৎস্য উৎপাদন ও পশুসম্পদ লালন-পালন ইত্যাদি উৎপাদনের দিক থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী শীর্ষ দশে রয়েছে।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত জটিলতা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের কৃষিকে রূপান্তরিত করতে মনোযোগী। এর মধ্যে কৃষিকে জলবায়ু সহনশীল করা, রাসায়নিক সার ও পানির ব্যবহার কমানো, ডিজিটালাইজড উৎপাদন ও বণ্টন, কৃষি-লজিস্টিক খাতকে উন্নত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা ও পরিবর্তন আনতে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।’
মন্ত্রী ডাচ কৃষি-ব্যবসা এবং কৃষি-প্রযুক্তি বাংলাদেশে আকৃষ্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে তাঁর সমর্থন ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স নওরিদ শারমিন উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন সকালে কৃষিমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের ইমেলুর্ডে শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য জাতের আলু উৎপাদনের মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদর্শনে আলুর বীজ উৎপাদন এবং আলুর বীজের গুনাগুণ নির্ণয় ও সত্যায়ন সংক্রান্ত ল্যাবরেটরি পরিদর্শন করেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে আলু উৎপাদন বহুগুণে বাড়ানো সম্ভব। কিন্তু, বাজারজাতকরণে সমস্যা রয়েছে। শিল্পে ব্যবহার উপযোগী ও রপ্তানিযোগ্য জাতের আলু চাষ করতে পারলে এ সমস্যা কেটে যাবে। আমরা সেলক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’