কৃষির সফলতা জাদুর কাঠিতে আসেনি : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষি সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। এ পেশায় নতুন নতুন সমস্যা আসবে। সেসব সমস্যা মোকাবিলা ও কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সবাইকে কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করতে হবে।
কৃষিকে প্রকৃতি ও মৌসুমনির্ভর পেশা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের শাসনামলে সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। বরং তখন কৃষিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। তখন জাতির কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, বাংলাদেশকে দানাজতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করব, দরিদ্রতা কমিয়ে নিয়ে আসব, এমডিজি গোল অর্জন করব। ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে এমডিজির প্রায় সব লক্ষ্যমাত্রা আমরা অর্জন করি এবং দরিদ্রতা ২১ ভাগে নামিয়ে আনি। এটা কোনো জাদুর কাঠিতে হয়নি।’
আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে ৩৮তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে যোগদান করা কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে কৃষিতে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যারা আগ্রহ নিয়ে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করবে তাদেরকে অবশ্যই কৃষি মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নের দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। এটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য, ১৭ কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য, এখনও আমাদের যুদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। সেই যুদ্ধে আপনাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই যুদ্ধে আপনারা অবদান রেখে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটা উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে তুলবেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার প্রমুখ।