কোন সরকার আসবে-যাবে, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের মানুষ : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কোন সরকার আসবে-যাবে সেটা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের মানুষ। বন্ধুবেশে বাইরের কেউ নির্ধারণ করবে, এটা দেশের মানুষ মানবে না। এ জন্য আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করিনি।
আজ রোববার বিকেলে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘যুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছেন—আমরা সব সময় তা মনে করি। তাই বন্ধুত্ব থাকা ভালো প্রভুত্ব করতে আসবেন। আমরা তা মানব না।’
গয়েশ্বর বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আমরা অনুরোধ করব, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য কোনো দেশের স্বীকৃতি দরকার নেই। কারও সঙ্গে চুক্তিও করতে হবে না। আমাদের প্রয়োজন গণতান্ত্রিক বিশ্বের সদস্য হিসেবে আমাদের দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ওবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য আপনারা আমাদের পাশে থাকুন। ভোটের জন্য বিএনপি বা খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়ানোর দরকার নেই।’
বিক্ষোভ সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র আরও বলেন, ‘১৮ কোটি মানুষ আপনাদের কাছে মাথা নত করবে না, ভোট হতে দেন। ভোটের পর বিএনপির সরকার এলে আপনাদের কী কী কথা আছে, সেটা বলেন। তখন আপনাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে, কি থাকবে না, পরে কথা বলি।’
গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশসহ বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অনিবার্য। কিন্তু, আমরা কারো প্রভুত্ব মানতে রাজি না। বন্ধুত্ব চাইলে সৎ প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব চান। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে তাদের চোখের ভাষা বুঝতে হবে। মনের কথা বুঝতে চেষ্টা করেন।’
‘ওয়ারিশ সূত্রে কেউ দেশের মালিক না’ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১৩ বছর হয়ে গেল, বাংলার মানুষ আর টানতে পারছে না। তাই এই সরকারকে নামাতে হবে।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম মফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহসাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেস আলী মামুন ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা মাহবুবুর রহমান লিটন।
এর আগে বিএনপির চেয়ারপারসনের সুস্থতা কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।