কোভিড ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ-জাপান
বাংলাদেশ ও জাপান কোভিড মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আজ বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে সাক্ষাতকালে এ বিষয়ে কথা বলেন। তাঁরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং সাধারণ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন অনুষ্ঠানে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদ সুগার অংশগ্রহণের জন্য তাঁর প্রশংসা করেন। উভয় পক্ষ ২০২২ সালে উচ্চ-স্তরের বিনিময়ের মাধ্যমে উপযুক্তভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পঞ্চাশতম বার্ষিকী স্মরণে সম্মত হন।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, কোভিড মহামারি সবার জন্য এক অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জিং সময় সৃষ্টি করেছে। জাপান সরকারকে কোভিড সম্পর্কিত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান শাহরিয়ার আলম। তিনি মহামারি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত উদ্যোগের বিষয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন এবং কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য জাপানের কাছ থেকে আরও সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
এ সময় জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহামারি চলাকালীন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। তিনি কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার আশ্বাস দেন।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ১১ লাখ রোহিঙ্গা তাদের পৈতৃক ভিটায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও স্থিতিশীলতার জন্য জাপান এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারে। তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করতে জাপানকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
শাহরিয়ার আলম আশা করেন, বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) উদ্যোগ জাপানের মানসম্মত অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে এবং বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে। এগুলো আঞ্চলিক যোগাযোগকে জোরদার করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এ সময় তারা উভয়ে জাপানিদের অর্থায়নে নির্মিত বড় উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। জলবায়ু পরিবর্তন আলোচনায় বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভূমিকার স্বীকৃতি প্রদান করে রাষ্ট্রদূত জাপানি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।