কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক মুজাক্কিরের দাফন সম্পন্ন
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের স্থানীয় আজগর আলী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এর আগে সাংবাদিক মুজাক্কিরকে এক নজর দেখার জন্য এবং জানাজায় অংশ নিতে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, জানাজা ও দাফন নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল।
কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
নিহত বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন।
এর আগে, শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারের সামনে কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়।