কোরবানির পশুর চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে সতর্কতা
বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চামড়ার মূল্য অপেক্ষাকৃত বেশি হওয়ায় কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে পাচার হতে না পারে সে ব্যাপারে জয়পুরহাট সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
পাচার রোধে জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ জয়পুরহাট-হিলি সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ, স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত পয়েন্টসহ পুরো সীমান্তজুড়ে নেওয়া হয়েছে বিশেষ সতর্কতা। এই ৪১ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১৮ কিলোমিটারে তারকাটা নেই। এই অংশগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বেশি নজরদারি করা হচ্ছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত ফোর্স (বিজিবি সদস্য) মোতায়েন করা হয়েছে।
জয়পুরহাট-২০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিজিবি হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে সীমান্তের চোরাইপথ দিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া যাতে কোনোভাবে ভারতে পাচার হতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের নিয়ন্ত্রণাধীন জয়পুরহাট-হিলি সীমান্তের স্পর্শকাতর ও অরক্ষিত পয়েন্টসহ সীমান্তের সর্বত্র অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি এ সীমান্তে কোরবানির পশুর চামড়া জমায়েত হওয়ার স্থানগুলোতে সাদা পোশাকে নিজস্ব গোয়েন্দা সদস্যদের অবস্থান নিশ্চিত করে দিনরাত কড়া নজরদারি ও পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে গোপনে দিনে কিংবা রাতের অন্ধকারে কোনোভাবে কোরবানির পশুর চামড়া ভারতে পাচার না হতে পারে।