কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কোরবানি ও কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য সকল সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে যত্রতত্র পশু জবাই করা হতে বিরত থাকতে এবং সুনির্দিষ্ট স্থানে গর্ত করে গর্তের মধ্যে রক্ত, গোবর ও পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটিচাপা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার এবং জবাই করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ ডাস্টবিন অথবা নির্ধারিত স্থানে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ অনুরোধ জানানো হয়। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে চার লাখ কপি প্রচারপত্র সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভাগ ও জেলা কার্যালয়, জেলা প্রশাসন এবং জেলা তথ্য অফিসসহ অন্যান্য সংস্থার মাধ্যমে দেশব্যাপী বিতরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এ ছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তর মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সারা দেশের মসজিদসমূহে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও মসজিদের ইমামদেরকে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে করণীয় সম্পর্কে জুম্মার নামাজে বক্তব্য রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পাশাপাশি বেসরকারি চ্যানেলে ও প্রচার মাধ্যমে কোরবানির পশুর বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে অপসারণ সংক্রান্ত বার্তা প্রচারের অনুরোধ করা হয়েছে।