ক্রেতা সেজে পাচারকারীদের হাতেনাতে ধরল পুলিশ
পুলিশের কাছে আসে গোপন সংবাদ। জানতে পারে, বিক্রি হচ্ছে তক্ষক। সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতার ছদ্মবেশ নেয় অভিযানিক দল। পৌঁছান পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের দণ্ডপাল ইউনিয়নে। সেখানের কালীগঞ্জ সুকাতু প্রধান স্কুল মাঠে উপস্থিত হয়। তক্ষক না দেখিয়ে চরে দামদর। তিন কোটি টাকায় হয় মৌখিক চুক্তি। এরপর দেখতে চাইলে পাচারকারী দলের সদস্যরা তক্ষকটি দেখায়। পরে হাতেনাতে আটক করা হয় এ দলের চার সদস্যকে। পরে তাদের তথ্যে আটক হয় আরও একজন।
গতকাল চলে এই অভিযান। আর আজ শনিবার ওই অভিযানে পলাতক পঞ্চম ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এরপর দুপুরে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ঠাকুরগাঁও সদরের পূর্ব শুখানপুকুরি এলাকার রেজাউল করিম (৪০), বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মনিপাড়া এলাকার দেবারু চন্দ্র (৩৫), পাচঁপীর ইউনিয়নের বৈরাতি সেনপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম (৪০), দেবীগঞ্জের পামুলি ইউনিয়নের রাজারহাট এলাকার আমজাদ হোসেন (৪৫) ও একই উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ এলাকার মো. হাসান আলী (৩২)।
পুলিশ জানায়, অভিযানের নেতৃত্ব দেন পরিদর্শক (তদন্ত) রঞ্জু আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘তক্ষকসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। উদ্ধারকৃত তক্ষকটি বন বিভাগের কাছে হন্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘বিদেশে পাচারের উদ্দেশে পাচারকারী চক্রটি খাগড়াছড়ি পার্বত্য এলাকা থেকে এটি নিয়ে আসে। এটি কালো খাকি ও মেরুন চক্রাবক্রা রংয়ের। এটি লম্বায় আট দশমিক শুন্য দুই ইঞ্চি এবং ওজন ৪০ গ্রাম। পাচারকারী চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’