ক্লিনফিড না চলায় দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী
ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্র বলেন, ‘বিদেশি টিভি ক্লিনফিড না চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক হাজার কোটি টাকা, যা দেশে লগ্নি হতো, তা বিদেশের চ্যানেলে লগ্নি হয়। আইন ভঙ্গ করে বিদেশি চ্যানেলে যদি বিজ্ঞাপন না দেখানো হতো, তবে দেশের মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি লাভবান হতো। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি লাভবান হতো।'
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপ্রেস গ্রুপের কার্যালয়ে চ্যানেল আইয়ের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আইনানুসারে বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ শুক্রবার থেকে মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ক্লিনফিড না চলার কারণে দেশের অর্থনীতি, শিল্পী, শিল্প, সংস্কৃতি ও মিডিয়া ইন্ডাস্ট্রি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেকারণেই আমরা এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওটিটি প্লাটফর্ম নিয়ে একটি নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে, খসড়া সম্পন্ন হয়েছে। নীতিমালা পাশ হলে, প্লাটফর্মগুলোকে তা অনুসরণ করতে হবে এবং কোনো বাত্যয় হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় জীবন ও জাতি গঠনে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম বলে উল্লেখ করেন ড. হাছান মাহমুদ।
এদিকে, বিদেশি টিভি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়নের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে দেশের টিভি চ্যানেল মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-অ্যাটকো এবং টিভি চ্যানেলগুলোতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি)। দেশের সব টিভিতে মন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং বিজেসি এ নিয়ে লিখিত বিবৃতি দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০০৬ সালের কেবল নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনে এ বিধান থাকলেও এর আগে কখোনই এটি কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বর্তমান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বিজেসি। এতে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেল শিল্পের আর্থিক সংকট কমবে এবং উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সম্প্রচারকর্মীরাও এর সুফল পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।’