খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
খাগড়াছড়িতে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কয়েক ঘণ্টার প্রবল বর্ষণজনিত পাহাড়ি ঢলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ সকাল থেকে জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া, মিলনপুর, কল্যাণপুর, মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবাসহ নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি, সড়ক, কৃষিজমি ও পুকুর পানিতে তলিয়ে গেছে। ভোররাতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক বসতবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পৌর শহরের নিচের কাঁচা সবজি বাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। অনেকে ঘর ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় এবং নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, বন্যায় আটকেপড়াদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বন্যাদুর্গতদের জন্য খাগড়াছড়ি পৌরসভার পক্ষ থেকে খিচুড়ি ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক সড়কের মহালছড়ি চব্বিশ মাইল এলাকায় সড়কের ওপর পানি জমে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের খবর পাওয়া গেছে। জেলার শালবন, সবুজবাগে পাহাড় ধসে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাহাড় ধসের কারণে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হচ্ছে। সেখানে আমরা খাবারের ব্যবস্থা করেছি। বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, আশ্রয়কেন্দ্রসহ দুর্যোগ মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং পাহাড় ধসের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সর্তকতা জারি করা হয়েছে।