খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার কাজ করছে : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ কৌশল প্রণয়নের ওপর অধিক গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কাজাখস্তানের নুর সুলতানে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী ‘ইসলামিক অরগানাইজেশন অব ফুড সিকিউরিটি’ বিষয়ক চতুর্থ সাধারণ সম্মেলনের শেষ দিনে প্যানেল আলোচনায় এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, পৃথিবী এখন ইতিহাসের এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে মানবজাতির সংকট বাড়ছে। এ সময়ে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কেউ সুরক্ষিত নয়। বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর সমান জোর দিয়ে করোনাকালীন বিশেষ উদ্যোগ নেয়। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়িয়ে করোনাকালে এক কোটির বেশি আয়-রোজগারহীন মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে খাদ্য সহায়তা দেয়। মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিকসহ পাঁচ মিলিয়ন মানুষকে নগদ প্রণোদনা দিয়েছে। মহামারিকালে খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জন প্রসংশনীয়।
সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা এবং অংশীদারত্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তীতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় পারস্পরিক সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তিনি কৃষি ও খাদ্য খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরও বেশি বিনিয়োগ, গবেষণা ও উদ্ভাবন বাড়ানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আইওএফএসের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ইয়ারবল কারাসকেয়েভ বক্তব্য দেন। এ ছাড়া কান্ট্রি ডিবেটে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং কাজাখস্তানের পক্ষ থেকে দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বক্তব্য উপস্থাপন করেন।