খাদ্য মজুত ও ভেজাল করলে জেল-জরিমানা
খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহণ, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণনে আইন ভঙ্গ করলে বা অনিয়ম করলে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে নতুন একটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (১০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের পর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
সচিব বলেন, ‘এই আইনে বাজারে অনিরাপদ বা ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ করলে অনূর্ধ্ব ৫ বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। এই আইন কেউ লঙ্ঘন করলে তার ভ্রাম্যমাণ ও নিরাপদ খাদ্য আদালতে শাস্তি হবে।’
সচিব মো. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্যে অস্বাভাবিক কোনো কিছু মেশানো, কৃত্রিম সংকটের জন্য মজুত করা, বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কম দেওয়া হলে—সব অপরাধের জন্য একইরকম শাস্তি দেওয়া হবে।’
এর আগে গত বছর ১৯ এপ্রিল এ আইনটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করলে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের খসড়াটি আগের দুটি আইনের সমন্বয় করে তৈরি করা হয়েছে। আইনে ২০টি ধারা রয়েছে। কেউ যদি খাদ্যে ভেজাল করেন, তাহলে এ আইনে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের কথা বলা হয়েছে।’
আইনের খসড়ার কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে সচিব মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘কেউ আইন লঙ্ঘন করে খাদ্যদ্রব্য মজুত করলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদানের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে আদালতকে। এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে দানাদার খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে অনিয়ম করলে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধানের কথা বলা হয়েছে।’