খাদ্য মন্ত্রণালয় সততায় পিছিয়ে নেই : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় সততায় পিছিয়ে নেই। অনলাইন ফুড স্টক এন্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম চালুর ফলে খাদ্যশস্য সংগ্রহ, চলাচল, বিতরণ ও সংরক্ষণে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিত হবে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় সিরডাপ আন্তর্জাতিক মিলনায়তনে ‘অনলাইন ফুড স্টক এন্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
খ্যাদ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের কার্যকরিতা করোনাকালে প্রতীয়মান হয়েছে। ডিজিটাল পদ্ধতি থাকায় জনসাধারণের কাছে সহজেই সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আপনাদের বলেছিলাম কাজের গুণগত মান ও সময়ক্ষেপণ যাতে না হয়, সেদিকে সুদৃষ্টি রাখবেন। আজকেও একই কথা বলতে চাই, আপনারা সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবেন। কাজের গুণগত মানের সঙ্গে আমরা কোনো আপস করবো না।
সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ডিজিটাল যুগে নিজেদের প্রযুক্তির সাথে মানিয়ে নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সেই সাথে সেবাদানের মানসিক প্রস্তুতিও থাকতে হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাডভাইজার সামিরা জুবেরি হিমিকা এবং খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হিসাব ও অর্থ) মো. মাহমুদ হাসান বক্তব্য দেন।
খাদ্য সচিব বলেন, সকল পর্যায়েই সুশাসন দরকার। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন আরও বেশি দরকার। খাদ্যের অভাব হলে সুশাসন বাধাগ্রস্ত হয়। খাদ্য নিরাপত্তা তাই প্রকারান্তরে জাতীয় নিরাপত্তার ভূমিকা পালন করে। এই প্রকল্প খাদ্য অধিদপ্তরের কাজে গতিশীলতা আনবে।
দিনব্যাপী কর্মশালায় খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, জেলা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকবৃন্দ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
উল্লেখ্য, বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেড বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, ভারতের টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেড ও টেকভ্যালি নেটওয়ার্কস লিমিটেড জেভি এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করছে। প্রকল্পের চুক্তিমূল্য ২৬১.৭১ কোটি টাকা।