খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ২৫ মার্চ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন করা হবে কি না, এ বিষয়ের ওপর পরবর্তী শুনানির শুনানির জন্য ২৫ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ মৃত্যুবরণ করায় আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে কেরাণীগঞ্জের কারা ভবনে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের অস্থায়ী আদালত এ আদেশ দেন।
গত ২ মার্চ প্রথমদিনের এক ঘণ্টার শুনানির পর আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) শুনানির দ্বিতীয় দিন ধার্য করেন আদালত। আজ শুনানি শেষে ২৫ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়। একইসঙ্গে ওইদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মৃত্যু প্রতিবেদন দাখিল করতে গুলশান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার অভিযোগ গঠনের শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন মেসবাহ উদ্দীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়। এতে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।