খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী নির্বাচন নিয়ে যা বললেন আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। সরকার চায় সব দলই এই নির্বাচনে আসুক। তবে, সরকার সংবিধানের বাইরে যাবে না। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর বিদেশিদের কোনো চাপ নেই।’
আজ বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, প্রস্তাবিত উপাত্ত সুরক্ষা আইনসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে অন্তর্বর্তীকালীন মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয় এসেছে। তবে, নথিটি এখনও তাঁর কাছে উপস্থাপন করা হয়নি। তাঁর মতামত দেওয়ার পর নথিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারবেন কিনা, প্রশ্নে মন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাছে এখনও আবেদনটি আসেনি। এলে আমি নিষ্পত্তি করব। আমি যখন এটি নিষ্পত্তি করব, আমি আপনাদের অবশ্যই জানাব। এখনও আমি জানি না যে ফাইলের মধ্যে কী আছে।’
‘খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী জামিন চাওয়া হয়েছে’ জানিয়ে প্রশ্ন উঠলে জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামিন দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের, সরকারের না। প্রথমবার যখন তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন দুটি শর্ত দেওয়া হয়। দুটি শর্তের মধ্যে রয়েছে—তিনি ঢাকায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। শেষবার যখন মেয়াদ বাড়ানো হয়, তখনও এই শর্তগুলো ছিল।’ তিনি বলেন, ‘এখন যে আবেদন এসেছে, আপনারা কিছুদিনের মধ্যে সে বিষয়ে জানতে পারবেন। যে শর্ত আছে, সেটাই বহাল থাকবে বলে আমি মনে করি।’
খালেদা জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন কিনা প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে একটা পরিষ্কার কথা বলতে চাই—আমি আগে যেটা বলেছিলাম, সেটা আইনের বইতে কী আছে আপনারা দেখে নেন। আমি এটার ব্যাপারে আর কথা বলব না।’