খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ হয়েছে : ডা. জাহিদ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের অন্যতম সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আমরা কখনও বলিনি খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল। আমরা সব সময় বলেছি তাঁর রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ হয়েছে। তবে প্রাথমিক যে চিকিৎসা সেটির কিছুই হয়নি।’
আজ বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে খালেদা জিয়ার বুস্টার ডোজ টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন ডা. জাহিদ।
ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকেরা উনার লিভারের যে সমস্যা সেটার জন্য উনাকে বিদেশে অ্যাডভান্স চিকিৎসার কথা বলেছেন। মেডিকেল বোর্ড সব সময় সাজেস্ট করেছে, উনার যে সমস্যা সেগুলোর জন্য বিদেশে পাঠাতে। আমার দলের পক্ষ থেকে, পরিবারের পক্ষ থেকেও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। উনার প্রাথমিক চিকিৎসা এখনও হয়নি। তাই সব চিকিৎসকের পরামর্শ, উনার প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসা দিতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যখন বিএসএমএমইউতে ভর্তি ছিলেন, তখন কেন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উনাকে বিদেশে নেওয়া হলো। দুই দিন আগে তিনি আবার দিল্লি গেলেন। আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদ কয়দিন আগে দিল্লি গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে এলেন। আমরা চাই না উনাদের মতো সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হন। কিন্তু দেশেই যদি এত উন্নত চিকিৎসা থাকে, তাহলে আওয়ামী লীগ নেতারা কেন বিদেশে চিকিৎসার জন্য যান।’
ডা. জাহিদ বলেন, ‘মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে এ দেশের মানুষ এ কথা মনে রাখবে, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ প্রতিহিংসার কথা মনে রাখবে।’
আজ বুধবার খালেদা জিয়াসহ চার জন করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। অন্য তিনজন হলেন ব্যক্তিগত সাহায্যকারী রূপা শিকদার, আবদুর রহিম ও আবদুল খালেক।
খালেদা জিয়াকে করোনার বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি টিকা দেওয়া হয়েছে। এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মডার্নার তৈরি টিকা নেন তিনি।