খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশব্যাপী দোয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দেশব্যাপী দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার বাদ জোহর রাজধানীর নয়াপল্টন জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, শিশুবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীবিষয়ক সম্পাদক এম এ মালেক, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, সহজলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সহকারী বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু, সহকারী তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক শিকদার, সালাহউদ্দিন ভুইয়া শিশির, হায়দার আলী খান লেলিন, ওমর ফারুক শাফিন, ওলামা দলের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেসারুল হক, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জাসাসের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন রোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিলাদ ও দোয়ার আগে আমান উল্লাহ আমান ও সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানান। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন নয়াপল্টন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আমিনুল ইসলাম।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভালো আছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান চিকিৎসক।
খালেদা জিয়ার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কেমন জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, ‘ম্যাডামের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আজ পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো আছে, আলহামদুলিল্লাহ। এভাবে এক সপ্তাহ গেলে বলা যাবে উনার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত।’
৪৮ ঘণ্টা পর পর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ডা. এফ এম সিদ্দিকী।
আজ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় বিদেশ থেকে কোনো চিকিৎসক ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন কিনা জানতে চাইলে ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানও যুক্ত ছিলেন, তিনি সব কিছু তদারকি করছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে কিনা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন, এখন পর্যন্ত তাঁকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত। হাসপাতালে নেওয়ার পরিস্থিতি দেখা দিলে সে প্রস্তুতিও আমাদের আছে। আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
ডা. এফ এম সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়া দেশের সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, সবাই যেন সাবধানে থাকেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।
এ সময় এফ এম সিদ্দিকীর সঙ্গে ছিলেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও ডা. আল মামুন।