খালেদা জিয়ার ১১ মামলা : অভিযোগ গঠনের শুনানি ২১ নভেম্বর
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার পরবর্তীতে শুনানির জন্য আগামী ২১ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এই দিন ধার্য করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু অভিযোগ গঠনের জন্য সময়ের আবেদন করেন আসামিপক্ষ। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে উচ্চ আদালতের আদেশ আদালতে দাখিলে ব্যর্থ হলে বিচারক অভিযোগ গঠন করবেন বলে আদেশে দিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নাশকতার আটটি, রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ও যাত্রাবাড়ী থানার বিস্ফোরক ও হত্যা আইনের দুটি মামলা রয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদারের আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পরে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয়, এত লক্ষ শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’
ওই দিন খালেদা জিয়া আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’
যাত্রাবাড়ী থানার মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নুরুজ্জামান।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন—বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও শওকত মাহমুদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।