খালেদা জিয়া স্থিতিশীল, আগের ওষুধই চলছে : চিকিৎসক
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গতকালকের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে। আজ শুক্রবার তাঁর জন্য নতুন করে কোনো ওষুধ যুক্ত করা হয়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
রাত ৮টার পর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন।
এ সময় ডা. জাহিদ বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া, আপনারা জানেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা পরবর্তীতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন। এবং তিনি এই মুহূর্তে সিসিইউতেই আছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা আজকেও জুমার নামাজের আগে এসেছিলেন এবং উনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল বোর্ড গতকাল যে চিকিৎসা ছিল সেটাই অব্যাহত রেখেছে। আলহামদুলিল্লাহ, গতকালের মতো আজকেও উনার অবস্থা স্থিতিশীল আছে। আমরা আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া কামনা ও তাঁর আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।’
এ সময় চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসক বলেন, ‘বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তো এখন পর্যন্ত সত্যিকার অর্থে সরকারের কাছে উনার পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আমাদের দলের মহাসচিবও আবেদন জানিয়েছেন, অনুরোধ করেছেন।’
‘এখন এটি সরকারের বিষয়, সরকার উনাকে কবে নাগাদ, কীভাবে উনাকে যাওয়ার অনুমতি দিবে। এখন উনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এখানে তিনি শুধু এই হাসপাতালের নয়, এর বাইরেও স্বনামধন্য চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন’, যোগ করেন ডা. জাহিদ হোসেন।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। করোনায় আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বার খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
শ্বাসকষ্টজনিত কারণে গত সোমবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। এখনো তিনি সেখানেই আছেন।