খুলনায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
খুলনায় ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি চক্রের মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬।
আজ বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে র্যাব-৬ এর খুলনা সদর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান অধিনায়ক কর্নেল মোশতাক আহমেদ।
এই র্যাব কর্মকর্তা জানান, গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার চক্রাখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৬ এর একটি দল। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মূলহোতা মো. আব্দুল আলী ফকির (৫০), তার সহযোগী মো. হারুন হাওলাদার (৬২) ও মো. আরিফ (৪২)।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়—একটি প্রতারক চক্র দীর্ঘদিন ধরে আলিফ এন্টারপ্রাইজ, খান জাহান এন্টারপ্রাইজ, আলম এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন নামে ভুয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, শরীয়তপুর, নোয়াখালী, পিরোজপুর জেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছে কয়লা বিক্রি করবে বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে৷ এই চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকির নিজেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পরিচয় দিতেন। তাঁরা কিছু দিনের জন্য কোনো ভবনে অফিস ভাড়া নিত এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ভিজিটিং কার্ড তৈরি করত।
চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। চক্রের মূলহোতা আব্দুল আলী ফকির ও তার সহযোগীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করত এবং প্রায় শতাধিক মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করত। কিন্তু তাঁদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৬ এর একটি দল তদন্ত শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে৷ এক পর্যায়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব-৬ এর অধিনায়ক কর্নেল মোশতাক আহমেদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে এবং মূলহোতা আব্দুল আলী ফকিরের নামে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। তাদেরকে বাগেরহাট জেলার রামপাল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’