খুলনায় তড়িৎ পদক্ষেপে রক্ষা পেল ১৩৬ রোগী
তিন-চার ঘণ্টা ধরে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় রোগী ও তাদের স্বজনেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে ও পেজে প্রচারিত হচ্ছিল আশঙ্কার কথা। অবশেষে কয়েকজন চিকিৎসকের আপ্রাণ চেষ্টায় সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অবসান হয়।
ঘটনাটি ঈদুল আজহার আগের রাত (২০ জুলাই মঙ্গলবার) ৯টা থেকে ১টা পর্যন্ত খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে। হাসপাতালের নিচতলায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় এ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ওই সময় রেড ও ইয়েলো জোন মিলে মোট ১৩৬ জন রোগী ছিল হাসপাতালে।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান জানান, ঈদের আগের রাত ৯টার পর সদ্য চালু হওয়া সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থেকে অক্সিজেন সরবরাহ কমে গিয়েছিল। কারণ স্পেকট্রা সেন্ট্রাল ট্যাংকে ময়লা জমে সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। তিনি নিজেসহ খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ, হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ফরিদ উদ্দিন, ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রকৌশলী দিয়ে দ্রুত ময়লা পরিষ্কার করে অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক করেন। রাত ১টা থেকে এই ট্যাংক থেকে আবারও পুরোদমে অক্সিজেন সরবরাহ শুরু হলে সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
ডা. রবিউল হাসান স্বীকার করেন, অক্সিজেন সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারত। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে কোনো সমস্যা হয়নি এবং ২১ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত এই হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর সংখ্যাও মাত্র একজন। অথচ গত ১০ দিনে ছয়-সাতজনের কম কোনো দিন মৃত্যু ছিল না।
সম্প্রতি সাতক্ষীরা ও বগুড়ার হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়া বা বিঘ্নজনিত কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল।