খুলনায় ‘নদীকে বাঁচাও’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
খুলনায় ‘নদীর প্রাণ আছে, তাকে বাঁচতে দাও’ এই শীরোনামে ব্যতিক্রমধর্মী ১০০ নদীর উন্মুক্ত আলোচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। আলোকচিত্র সাংবাদিক কাকলী প্রধানের ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য আর ১০ ফুট উচ্চতার এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী আজ শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে উদ্বোধন করেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
রূপসা নদীর তীরে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, আলোকচিত্র সংবাদিক কাকলী প্রধান, পরিবেশবিদ গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দী।
তিন দিনব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। আলোকচিত্র সংবাদিক কাকলী প্রধান ও শিশু সংগঠন ‘ইকরিমিকরি’ সাধারণ মানুষের কাছে নদীর বিপন্নতা ও শিশুদের কাছে নদীর রূপ, প্রকৃতি তুলে ধরার জন্য কাজ করছে। এ লক্ষ্যে ১০০ নদীর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা, বরিশাল, খুলনা ও টেকনাফে।
এর আগে গত ২৪ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী। খুলনার পর প্রদর্শনী হবে বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে ড্রেজার বেইজে ১৬ থেকে ১৮ মার্চ এবং ঢাকার শ্যামপুর ইকোপার্কে ২০ থেকে ২২ মার্চ।
আলোকচিত্র প্রদর্শনীগুলোর জন্য সহযোগিতা করছে বিআইডব্লিউটিএ। প্রধান অতিথি নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপথ দখল ও দুষণমুক্ত করে নাব্যতা ফিরিয়ে এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। নৌপথ ও নদী রক্ষার জন্য যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের পাশে বর্তমান সরকার রয়েছে। কাকলী প্রধান নদী নিয়ে যে আয়োজন করেছেন, এটা সব জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই দেশের নদী রক্ষা পাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো দেশে পড়ছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। পানির স্তর কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে হলে নদী বাঁচাতে হবে।