খুলনায় যুবলীগ নেতাকে ‘হত্যাচেষ্টা’, অস্ত্রসহ যুবক আটক
খুলনায় যুবলীগ নেতাকে গুলি করে পালানোর সময় একটি বিদেশি পিস্তল, একটি রিভলবার, ১১ রাউন্ড গুলি, বোমাসহ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের সামনে থেকে আটক করা হয় তাঁকে।
প্রাণে বেঁচে যাওয়া খুলনা মহানগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাওন ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পরে বয়রা বাজার মোড়ে শাওনকে লক্ষ্য করে দুটি মোটরসাইকেল থেকে গুলি করলে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর স্থানীয় জনতা ধাওয়া করলে মোটরসাইকেল থেকে এক যুবক পড়ে যান। স্থানীয়রা তাঁকে ধরে ফেলেন। পরে পুলিশ এলে ওই যুবক জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তাঁকে প্রাথমিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাঈদুর রহমান শাওন আরও জানান, দুটি মোটরসাইকেলে ছয় জন মুখোশ পরা অবস্থায় ছিল। তাঁকে হত্যার উদ্দেশে গুলি করার পরে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তারা পালাতে চেষ্টা করে।
সাঈদুর রহমান শাওনের বাবা, বড় ভাইকেও নিমর্মভাবে হত্যা করেছিল সন্ত্রাসীরা। রোববারের ঘটনার আগেও তাঁকে দুবার হত্যার চেষ্টা করেছিল সন্ত্রাসীরা।
খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজওয়ান আহম্মেদ বলেন, ‘বয়রা মোড়ে ডিউটি করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি স্থানীয়রা এক যুবককে ধরে রেখেছেন। তার কাছ থেকে বিদেশি একটি পিস্তল ও একটি রিভলবার এবং ১১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পালানোর সময় অন্যরা যে বোমা নিক্ষেপ করে, তার একটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।’
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশসহ (কেএমপি) বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হামলার শিকার হওয়া যুবলীগনেতা সাঈদুর রহমান শাওনের নামেও হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকায় ‘ট্যাংকি শাওন’ নামে পরিচিত। খুলনার আড়াইশো বেড পুজোখোলা এলাকায় এক ছেলেকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগে স্থানীয়রা তাঁকে ‘ট্যাংকি শাওন’ নামে চেনেন।