খুলনা বিভাগের সীমান্ত জেলাগুলোতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
খুলনা বিভাগের সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বেশি সংক্রমিত জেলার তালিকায় রয়েছে যশোর ও কুষ্টিয়া। এ বিভাগে ১২ দিনের ব্যবধানে সংক্রমণের হার বেড়েছে কয়েকগুণ। চলতি মাসের প্রথম দিন করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগী ছিল মাত্র ৫ জন। গতকাল বুধবার সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬০ জনে। এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠক ডেকেছে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুরুল মুরশিদ স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল বুধবার খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ৬০। এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা যশোরেই ৩০জন শনাক্ত হয়েছে। আর কুষ্টিয়ায় ১০ জন ও খুলনা ৯ জন শনাক্ত হয়।
ওই প্রতিবেদন বলছে, এখন থেকে ১২ দিন আগে জানুয়ারির প্রথম দিন বিভাগের দশ জেলায় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল পাঁচ। এই পাঁচজনের মধ্য চারজনই ছিল কুষ্টিয়ার। পরদিন ১৩ নতুন সংক্রমণের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ও চুয়াডাঙ্গায় তিনজন করে মোট ছয়জন সংক্রমিত হন। এরপর গত রোববার এক লাফে মোট শনাক্ত ৩০ জনে পৌঁছে। ওই দিন যশোর ২১ জন শনাক্ত হয়। পরদিন সোমবার মোট শনাক্ত হয় ৩৬ জন।
গত মঙ্গলবার মোট শনাক্ত অর্ধশত ছাড়িয়ে যায়। এ দিন ৫১ জন নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া ও যশোরে ১৭ জন করে মোট ৩৪ জন, খুলনায় ১২ ও চুয়াডাঙ্গায় আটজন শনাক্ত হয়। একই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার মোট ৫৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে যশোরে ১৬, কুষ্টিয়া ১৩, খুলনা নয় ও ঝিনাইদহে সাতজন নতুন রোগী রয়েছেন।
এদিকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থীর দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির রোকেয়া হলে থাকেন। করোনা শনাক্তের পর আজ সকালে চিকিৎসার জন্য তার বাড়ি রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই কক্ষের বাকি পাঁচ শিক্ষার্থীকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে।
রোকেয়া হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মামুন জামাল এ তথ্য নিশ্চিত করে এনটিভিকে বলেছেন, ওই শিক্ষার্থী করোনা শনাক্তের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সেখানে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।