গণপরিবহণ নিয়ে ভোগান্তি, ভুক্তভোগীদের সড়ক অবরোধ
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহণে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী নেওয়ার সিদ্ধান্তের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছে রাজধানীবাসী। অফিসগামী যাত্রীদের তীব্র চাপ লক্ষ্য করা গেছে বেশির ভাগ এলাকায়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আসন ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও বাসে উঠতে না পেরে অনেককেই অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
এদিকে, দীর্ঘ চেষ্টায়ও বাসে উঠতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে খিলক্ষেত বাস স্টপেজের সামনে সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ সড়ক অবরোধ করেন বেশ কিছু যাত্রী। প্রায় ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করে। দেখা দেয় প্রচণ্ড যানজট। পরে সকাল ১০টার দিকে রাস্তা থেকে বিক্ষোভকারীরা সরে গেলে যান চলাচল শুরু হয়।
দেশে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ এড়াতে গতকাল বুধবার গণপরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য সাত নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। বিআরটিএ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো:
১. ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের অধিক যাত্রী পরিবহণ করা যাবে না।
২. বিদ্যমান ভাড়ার অতিরিক্ত ৬০ শতাংশের বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে না।
৩. সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয় আন্তঃজেলা যান চলাচল সীমিত অথবা প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে।
৪. গণপরিবহণে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার, কন্ডাক্টর, হেলপার ও টিকেট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান/ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া তাদের হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সাবান-পানি, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. যাত্রার শুরু ও শেষে যানবাহন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. বাসে ওঠা ও নামার ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৭. গণপরিবহনের জন্য প্রযোজ্য অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ নির্দেশনা ৩১ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য কার্যকর থাকবে।