গণপূর্তের সাবেক মালি সেলিমের স্ত্রীর ছয় বছরের কারাদণ্ড
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক মালি সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পৃথক দুই ধারায় সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীনকে ছয় বছরের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হলো।’ তবে বিচারক আদেশে দুই ধারার সাজা এক সঙ্গে চলবে বলে পারভীনকে কারাগারে থাকতে হবে মোট তিন বছর বলে জানান তিনি।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ মামলায় পারভীন আক্তারের সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তিন বছর এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।’
পেশকার সাইফুল জানান, রায়ে বিচারক অবৈধ উপায়ে অর্জিত এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণার সময় পারভীন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’
মামলার বিবরণী থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর গণমাধ্যমে মালি থেকে কোটিপতি সেলিম মোল্যা শিরোনামে নামে অবৈধ সম্পদ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশ হয়।
অভিযোগের অনুসন্ধানে দুদক ২০১৭ সালের ১৮ অক্টোবর সেলিম মোল্যার স্ত্রী পারভীন আক্তারকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে পারভীন আক্তার ওই বছরের ৩১ অক্টোবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দাখিল করা বিবরণীতে তাঁর নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮ লাখ টাকা দেখান। তবে প্রকৃত পক্ষে পারভীনের অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ছিল এক কোটি ৫৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
নথি থেকে আরও জানা গেছে, দুদক অনুসন্ধানে পাওয়া রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় পারভীন আক্তারের নামে অর্জিত সম্পদের বিপরীতে গ্রহণযোগ্য জ্ঞাত আয়ের উৎস পাওয়া যায় ৩০ লাখ ২১ হাজার ৫৬৯ টাকা। তাঁর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় এক কোটি ২৬ লাখ ৩৩ হাজার ৪৩১ টাকা। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ২৭ লাখ ৯৫ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেন।
এ ঘটনায় দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদুর রহমান ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ রমনা থানায় মামলা করেন। ওই থানা সেলিম মোল্যার বিরুদ্ধেও পৃথক মামলা করা হয়।
পরবর্তীতে মামলা তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর উপপরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।