গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে : নজরুল ইসলাম খান
পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে জ্বালানির দাম কম এমন তথ্য দিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তথ্য বিকৃতি করেছেন, এমন অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে। মানুষ কিন্তু সত্য জানতে চায়। তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ চান।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ‘বাংলাদেশ টাইমলাইন ডটকম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ টাইমলাইন ডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক মামুন বিন আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ফারুক হোসাইনের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য দেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহুল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক শাহনাজ পলি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, অগণতান্ত্রিক সরকারের শাসনামলে নতুনভাবে সংবাদ মাধ্যমের আত্মপ্রকাশ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। সংবাদ ও মতামতের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে। সংবাদকে সংবাদ হিসেবে লিখতে হবে। সেখানে মতামত দেওয়া যায় না। কিন্তু আজকাল সংবাদে মতামত পরিলক্ষিত হয়। সুতরাং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং। কোনো ভুল তথ্য যাতে পরিবেশন করা না হয়, সেদিকে সাবধান থাকতে হবে। সত্য প্রচারে ও প্রকাশে সচেষ্ট হতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন আইনের নামে গণমাধ্যমকে চাপে রাখা হয়েছে। যে কারণে সরকারের মিথ্যাচার, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সমালোচনা করা বা লেখা হয় না।
তথ্যমন্ত্রী তথ্য বিকৃতি করছেন উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন জ্বালানির দাম বাড়িয়েও পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে দাম এখনো কম! এভাবে তিনি ও সরকার প্রতিনিয়ত মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা ভুল তথ্য দিয়ে দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছেন। এখানে সত্য প্রচারে চ্যালেঞ্জ রয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, অথচ বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ডিজেল কেরোসিনের দাম অনেক বেশি। ভারতেও আমাদের চেয়ে দাম কম। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো আন্দোলন বিধ্বস্ত দেশেও জ্বালানির দাম কম।