গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুর্ত্তজা আলী বাবু ও আশুলিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সরোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতারণার মাধ্যমে ৭৩ লাখ ৬৪ হাজার ৩৮১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে।
গতকাল রোববার গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত দুতিন বছর ধরে জমি ক্রয় কমিটির সদস্য সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুর্ত্তজা আলী বাবু ও সাবেক রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন এবং এদের অসৎ কাজের সহযোগী দলিল লেখক সরোয়ার হোসেন মিলে এ পর্যন্ত গণবিশ্ববিদ্যালয়ের নামে প্রায় এক হাজার ২২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এই জমি ক্রয়ে সরকারি মূল্য পেঅর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। আবার একই উদ্দেশ্যে ওই দলিল লেখকের সহযোগিতায় একই পরিমাণ অর্থ গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ভুয়া ভাউচার করে তুলে নিয়েছেন। যার পরিমাণ ৬৭ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮১ টাকা। এর অতিরিক্ত অন্যান্য কারণ দেখিয়ে ভুয়া ভাউচার করে আরও পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এ ছাড়া অনেক জমি বিক্রেতার কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জমির মূল্য বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত টাকাও তারা আত্মসাৎ করেছেন। যার কোনো হিসাব করা যাচ্ছে না। পুরো বিষয়টি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলে ট্রাস্টি বোর্ড মামলা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই তিন ব্যক্তিকে টাকা ফেরত দেওয়ার নোটিশ দিলে তারা তা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন।
আদালতে মামলাটি করেন ব্যারিস্টার শিহাবউদ্দিন খান। তার সহকারী ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহফুজুর রহমান। ব্যারিস্টার শিহাবউদ্দিন খান প্রতারণার অভিযোগে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলা করেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ব্যারিস্টার শিহাব বলেন, এজাহারে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি ফি বাবদ গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুবার টাকা নিয়েছেন। যা ফৌজদারি অপরাধের শামিল। এ ঘটনায় আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।