গাজীপুরের সাবেক মেয়র মান্নানের সাজা কেন বৃদ্ধি নয় : হাইকোর্ট
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাঁকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া এই মামলার অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় এম এ মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সে সময় তাঁর আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, এম এ মান্নান গাজীপুরের মেয়র থাকার সময়ে (২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) তিনি ও গোলাম কিবরিয়া ভুয়াভাবে ৯৯৯টি ভাউচারের অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার নামে একটি মামলা করেন।
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার নামে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপর গাজীপুরের স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বদলি করেন। ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ছয়জন সাক্ষ্য দেন।