গাবতলীর পশুর হাটের পাশে হবে অত্যাধুনিক জবাইখানা
অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে গাবতলী পশুর হাটের পাশে হবে অত্যাধুনিক জবাইখানা। এবার পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলেও তাতে মানুষের সাড়া ছিল কম। তবে, তা গতবারের তুলনা বেশি। ফলে খুব দ্রুতই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বর্জ অপসারণ সম্ভব হয়েছে। এর পরিধি বাড়ানো গেলে আরও দ্রুত এই কাজ সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গাবতলীতে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক জবাইখানা।
আজ সোমবার নগর ভবনে দুপুরে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার আমাদের পশু কোরবানির জন্য নির্ধারিত স্থান কম থাকলেও মানুষ সাড়া দিয়েছে। আগামীতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে। এবার জনগণের সহযোগিতায় ডিএনসিসিতে কোরবানির বর্জ্য ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে।’
আজকের মধ্যে নগরবাসীকে কোরবানি সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘নগরবাসীকে অনুরোধ করব—আপনারা আজকের মধ্যেই কোরবানি সম্পন্ন করেন। আজ যারা কোরবানি করবেন, পরপরই আমরা বর্জ্য অপসারণ করব। আগামীকালের জন্য কোরবানির অপেক্ষা করবেন না।’
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চার হাজার ২৬৭ ট্রিপে ১৯ হাজার ২২৩ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নগরবাসীর সহযোগিতায় আমরা গতকাল রাত ১০টার মধ্যে সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পেরেছি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে ছয় লাখ ১৫ হাজার পলি ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। একেকটি পলি ব্যাগে ৩৫ কেজি বর্জ্য ধারণ করতে পারে। এ ছাড়াও ৬০ টন ব্লিসিং পাউডার এবং স্যাভলন বিতরণ করেছি।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়। এর ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও কমে আসে। এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে ডিএনসিসির তিনটি ওয়ার্ডের ৯টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি হওয়ায় সর্বপ্রথম ৭নং ওয়ার্ডে দুপুরের মধ্যেই শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য এই ওয়ার্ডকে আমরা পুরস্কার দিতে চাই।’
সেই সঙ্গে এ ওয়ার্ডের রাস্তা নির্মাণে ঘোষণা দেন মেয়র।
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা দিন-রাত কাজ করছে। কাজ সম্পাদনে সকলের ছুটি বাতিল করা হয়।’