গার্ডার পড়ে নিহত রুবেলের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম
রাজধানীর বাস র্যাপিড ট্রানজিটের (বিআরটি) গার্ডার পড়ে হতাহতের ঘটনায় নিহত রুবেল মিয়ার মেহেরপুরের বাড়িতে চলছে স্বজনদের আহাজারি। ওই ঘটনায় নিহত আরও চারজনের মধ্যে একজন তাঁর আহত ছেলে রেজাউল করিম হৃদয়ের (২৬) শাশুড়ি ফাহিমা আক্তারসহ তাঁর স্বজনরা।
গতকাল সোমবার বিকেলে উত্তরায় নির্মাণাধীন বিআরটিএ’র প্রকল্পের গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারের পাঁচজন নিহত হন। এর মধ্যে রুবেল মিয়া ওরফে আইয়ুব হোসেন মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর ঘোরামারা গ্রামের মৃত তারাচাঁদ মণ্ডলের ছেলে।
রুবেলের মৃত্যুর খবরে গতকাল বিকেল থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশ। রুবেলর মরদেহ একনজর দেখার জন্য আশেপাশের গ্রাম থেকে তাঁর বাড়িতে এসে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা। যদিও ময়নাতদন্তের জন্য এখনও মরদেহ রয়েছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে।
রুবেলের বড় ভাই মহাসিন আলী জানান, ৯ ভাই তিন বোনের মধ্যে রুবেল ছিলেন অষ্টম। ২২ বছর আগে জন্মজেলা মেহেরপুর ছেড়ে ঢাকায় বসবাস করতে শুরু করেন রুবেল। পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন তিনি।
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার হেমায়েতপুরে বিয়ে করেন। থাকতেন ঢাকার খিলখেতের একটি ভাড়া বাসায়।
গত শনিবার একমাত্র ছেলে হৃদয়ের বিয়ে দেন জামালপুরে। সোমবার ছিল তাঁর বৌভাতের অনুষ্ঠান।
বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষে ছেলে, ছেলের বউ ও তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিজের গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন জামালপুরে। এর মধ্যে উত্তরায় ঘটে মর্মান্তিক দুঘটনা। তিনিসহ প্রাণ হারান ওই প্রাইভেটকারের পাঁচজন।
মহাসিন আরও জানান, রুবেলের মরদেহ মেহেরপুর নিতে পরিবারের লোকজন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঘোরামারাতেই রুবেলর দাফন সম্পন্ন হবে।
প্রতিবেশী শাহ আলম জানান, অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন রুবেল। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
শাহ আলমের মতো দাবি রুবেলের বাড়িতে উপস্থিত অন্য সবার।