গায়েব হওয়া ২৬ হাজার নথি উদ্ধার হয়েছে, জানাল রাজউক
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাউজক) সার্ভার থেকে গায়েব হয়েছিল প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি। সেগুলোর মধ্যে ২৬ হাজার ৭৭৭ নথি উদ্ধার করেছে সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার (২ মে) হাইকোর্টে এ তথ্য জানান রাজউকের আইনজীবী ইমাম হাসান। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে রাজউকের সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা অনুসন্ধানে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটিতে দুদকের উপপরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মো. রাজিব হাসানকে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে কমিটিটি এরই মধ্যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘রাজউক থেকে ৩০ হাজার নথি গায়েব’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজউক সার্ভার থেকে ভবন নির্মাণের অনুমোদন-সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথিপত্র গায়েব হয়ে গেছে। ৬ ডিসেম্বর বিষয়টি প্রথম জানতে পারে রাজউক। এটি নিছক কারিগরি ত্রুটি, নাকি এ ঘটনায় কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত—সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে রাজউক।
এ ঘটনায় গত ২ জানুয়ারি রাজউকের ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ ঘটনা অনুসন্ধানে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।