গুলিস্তানে বিস্ফোরণ : মিলেছে নিহতদের পরিচয়
রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাসস্ট্যান্ডের পাশের বহুতল ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
নিহতদের মধ্যে ১৭ জন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং একজনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন—নোয়াখালী সোনাইমুড়ীর নদী (৩৫) ও তার স্বামী মমিনুল (৩৮), বংশাল সুরিটোলার সুমন (২১), যাত্রাবাড়ীর শেখদির মনসুর হোসাইন (৪০), কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়ার রাহাত (১৮), চাঁদপুর মতলবের আল আমীন (২৩), কলাবাগান গ্রিন রোডের ইশহাক মৃধা (৩৫), বংশাল আলু বাজারের ইসমাইল (৪২) এবং কদমতলী মাতুয়াইলের মাইনুদ্দীন (৫০), হৃদয় (২০), ইদ্রিস মিয়া (৬০), আবৃত্তি বেগম (৭০), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), নাজমুল হোসেন (২৫) ও সম্রাট। তবে, তিনজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। রাত ১১টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবন থেকে ১৫ জনের মরদেহ এবং ৪০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, এ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ১৭ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন বলেন, ‘বিস্ফোরণের কারণ কী, সেটা এখনও জানা যায়নি। সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিস্ফোরক দল কাজ করছে, তারা এ বিষয়ে একটি উপসংহারে পৌঁছাবে।’
মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনের উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপপরিচালক দিনমনি শর্মা বলেন, ‘ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় ভবনের বেজমেন্টে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়। তাই উদ্ধারকাজ স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনী আসবে, তারপর উদ্ধারকাজ শুরু হবে।’